দগ্ধ হৃদয় (চতুর্থ র্পব)

ইসহাক আলী প্রামানীক

প্রায় তিন মাস গত হতে চলেছে। সূর্য প্রায় অস্ত যেতে চলেছে। এমন সময় হাসিনা বাড়ীর বাইরে এসে দেখলো ইনামুলের মা অর্থাৎ রেজিয়া বেগম দাড়িয়ে আছে।
-চাচী আম্মা এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন ?
কখন এসেছেন এখানে, চলুন বাড়ীর ভিতরে যাই।
-তোমার মা কোথায়, তার সাথে দেখা করতে এসেছি। তোমার মায়ের সাথে অনেক দিন হলো দেখাও হয় না কথাও হয় না। আর হাসিনা তুমি তো আগে মাঝে মাঝে আমার বাড়ী যেতে। কিন্তু কই এখন তো আর যাওনা।
-হ্যা চাচী মা বেশ কিছু দিন হলো আপনাদের বাড়ীতে যেতে পারছি না। কারণ আম্মা বেশ কিছু দিন হলো অসুস্থ্য থাকায় কাজের চাপে যেতে পারিনি। তবে সুযোগ পেলেই যাবো।
-তুমি বুঝি এখন স্কুলে যাওনা।
-জ্বী চাচী আম্মা।
-কেন ? পড়া কি সমাপ্ত করলে নাকি ?
তখন হাসিনা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে, বলে উঠল, আর সমাপ্তি করাই বটে। কারণ চাচা মিয়া স্কুলে যেতে নিষেধ করেছেন আমাকে। তাই কেমন করে আর স্কুলে যাই বলুনতো চাচী আমার আব্বা যদি বেঁচে থাকতেন তবে কি আর পড়া বন্ধ হতো আজ। আব্বার আশা ছিলো আমাকে সে অনেক পড়াবেন। কিন্তু তা আর হলো কই।
-সত্যি তোমার আব্বা বেঁচে থাকলে, তোমাদেরকে এমন হতে দিতো না। তোমার লেখাপড়াতো বন্ধ কোন ক্রমেই হতো না। কি করবে মা সবি ভাগ্য। কিন্তু তোমার পড়ার কি আরো ইচ্ছা আছে?
-চাচী আম্মা আমার কলেজে পড়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু কি করবো পড়তে দিচ্ছে না। তবে চাচী আম্মা চাচাকে একটু বুঝিয়ে বলেন যদি আর কিছু দিন পড়তে অনুমতি দেয় তবে আমার মনের আশাটা কিছুটা পুরন হতো। চাচী আম্মা আর কতো দাড়িয়ে থাকবেন চলেন বাড়ীর ভিতরে মা আমাদের ঘরেই বসে আছেন।

তারপর ইনামুলের মা বললেন, চলো মা তোমার মায়ের সাথে একটু দেখা করে আসি। ঘরের দিকে পা বাড়াতেই ইনামের মা আবার বললেন, তোমার চাচা যে ধরণের লোক সেকি আর অন্যের কথা শুনবেন। তবু চেষ্টা করব স্বীকার করাতে। এরপর ঘরে ঢুকে দেখে হাসিনার মা রান্নার কাজ শেষ করে নিজের ঘরে চুপচাপ বসে আছেন। কিরে বুবু আমাকে দেখে ভয় পেলি না তো আবার।
আরে না আপনাকে দেখে ভয় পাবো কেন, বসো বসো আমার সব তৈরী, ফিরোজা বেগম বললেন। আপনি ভালো আছেন তো।-তা অনেক দিন হলো আপনার সাথে দেখা হয় না। আজ যে আপনি কোন সৌভাগ্যে আমাদের বাড়ীতে এসেছেন সেইটাতো বুঝি নাই।
-তোরাতো আর বেড়াতে যাবি না। আমরা তো গরীব ঘরের মানুষ, আর তোরা হলিগে ধনী ঘরের মানুষ। তাই ভেবে চিন্তে আমি নিজেই তোদের দেখতে এলাম। দেখা হলো এখন যাই, আর দেরী করবো না। ইনামের মা একটানে কথা গুলো বললো।
-ছিঃ ছিঃ আপা ওভাবে বলছেন কেন, নানা চিন্তায় আমার সব গুলিয়ে যাচ্ছে তাই বেড় হওয়ার সুযোগ আসছে না। তা এতো ব্যস্ত হচ্ছেন কেন বসেন না একটু। আপনাকে দেখে আমার মন প্রাণ যেন কেমন জুড়িয়ে গেল। বসেন একটু কথা বলি, মনটা একটু হালকা করি।
-রেজিয়া বললেন, নারে অনেক সময় হলো এসেছি আর দেরী করা যাবেনা। তোকে না দেখে খুজতে খুজতে তাই বাড়ীর ভিতরে আসলাম। বাইরে হাসিনার সাথে কথা হলো তাই ওকে সাথে করে ভিতরে আসলাম। তা তোরা কেমন আছিস, তোদের হালহকিকত কেমন চলছে।
-আরে এত ব্যস্ত হচ্ছেন কেন ? বেলা ডুবে যাক না বাড়ীতো আর বেশী দুরে নয়। শুধু মাঝখানে দুই তিনটে বাড়ী। সন্ধ্যা লাগলেও অসুবিধে কোথায়।
তারপর তাদের কথায় ইনামুলের মা বসে পড়লেন। কিরে হাসিনার মা তুই কেমন আর বেড়াতে যাস না, কারণ কি? বড় লোক হয়ে গেলি নাকি?
কাজের ভিড়ে পারি নাই। তাছাড়া শরীর মন দুটোই আজকাল ভাল নেই। আপনি ভাল আছেন তো।
হ্যারে আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। তবে আমার শরীরটা ইদানিং অতো ভালো চলছে না। তাছাড়া বর্তমানে ছেলেও বাড়ী নেই, তাই মনেও আর আনন্দ আসে না।
-কোন ছেলে আপা কাশেম ?
-না ঐ মেঝো ছেলে।
-কেন ? কোথায় গেছে ইনামুল ?
-কেন তোরা জানিসনা, ও যে শহরের কলেজে ভর্তি হয়েছে ? ইনামুল তো প্রায় দুই মাস হলো বাড়ী থেকে গেছে। কেন যাওয়ার সময় তোদেরকে বলে যায় নাই।
-বলেন কি ? ওর এস,এস,সি রেজাল্ট কখন হয়েছে কখন কলেজে ভর্তি হয়েছে আমরা কিছুই তো জানিনা। ও তো বেশ কিছুদিন হলো এখানে আসে না তাই হয়তো জানিনা। থাক দোওয়া করি ছেলেটা মানুষ হোক। তা হোস্টেলে থাকে বুঝি?
-হ্যা হোস্টেলেই থাকে। হোস্টেলে মাসে অনেক টাকা লাগে। এখন চিন্তা করে দেখছি ওকে পড়াতে আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হবে। এত টাকা শেষ পর্যন্ত চালাতে পারবো কিনা, চিন্তা করছি। তারপর সে বাহিরের দিকে লক্ষ্য করে বললো আর দেরী করা যাবেনা সন্ধ্যা হয়ে গেছে, ফিরোজা আমি এখন যাই।

আর একটু দেরী করনা আপা। হাসিনা বাতি জ্বালাও মা। তোর চাচী আম্মাকে আমি খাবার দিচ্ছি।
হাসিনা ঘরে আলো জ্বেলে দিলো। হাসিনার মা এদিকে খাবার নিয়ে এলো। এমন সময় ইনামের মা বলেলো মা হাসিনা তোমরা আমাকে এখন খাবার দিওনা, আমি এখন কিছু খাবো না। এশার নামাজের পরে আমি খাই।
কি বললে তুমি খাবে না। তোমাকে না খাইয়ে আজ আর ছাড়ছিনা।
এদিকে হাসিনা খাবার নিয়ে আসার জন্য রান্না ঘরের দিকে চলে গেল। সেই ফাঁকে ইনামুলের মা বলল তোর মেয়েটি আমার খুব ভালো লাগে। ওর কথা বাতায় চাল চলনে আমার খুব মায়া লাগে। ওর কথা শুনলে আমার মনটা জুড়িয়ে যায়, তাই ওকে আমি মাঝে মাঝে দেখতে আসি।
আমার মনের বড় আশা তোর মেয়েকে ঘরে তুলে নিয়ে যেতে চাই। আমার তো ঘরে মেয়ে নাই। তাই তোর মেয়েকেই আমার মেয়ে করে রাখবো।
ইনামুলের মা যে এমন কথাটি ভাবেন তা হাসিনার মা আগে থেকে জানতো। তাছাড়া হাসিনার বাবারো এমন ইচ্ছাটি ছিল, কিন্তু মরণ কালে তা বলে যেতে পারেন নাই। হাসিনার মায়েরো ইচ্ছা তাই। তাই তার মনের কথাটি চাপা দিয়ে বলে উঠল, তোমার ছেলেকে আল্লাহ দীর্ঘায়ু করুক এবং ভালো ভাবে লেখা পড়া শেষ করে আসুক। খোদা চাহে অবশ্যই তোমার মনের আশা পুরন হবে। সব আল্লাহর ইচ্ছা আপা। এর মধ্যেই হাসিনা খাবার নিয়ে এলো। চাচী আম্মা আপনাদের বাড়ীর ভাবী বাপের বাড়ী গিয়েছিল, ফিরে এসেছে কি ?
-হ্যা এসেছে মা, প্রায় পনের দিন হলো। কয়েক দিন পর আবার বাপের বাড়ী যাবে।
-আমি তাহলে কালই আপনাদের বাড়ী একবার যাবো, অনেক দিন হলো ভাবীকে দেখিনাই।
-অবশ্যই যাবে, তোমাকে দেখার জন্য আমিও মনে মনে প্রায়ই আশা করে চেয়ে থাকি ? এর মধ্যে খাওয়া শেষ করে ইনামুলের মা উঠে পড়লো। তাহলে যাইরে হাসিনার মা। ঠিক আছে যাও, মাঝে মাঝে এসো বোন, আর ইনামুল আসলে আমাদের বাড়ী পাঠিয়ে দিও অনেক দিন হলো ওকে দেখিনা।
-ইনামুল আজ কালের ভিতরই আসার কথা, ঠিক আছে বাড়ী আসলে তোদের বাড়ী অবশ্যই পাঠিয়ে দিবো। ইনামের মা বাড়ীর দিকে রওনা দিলো।
-হাসিনা ও তার মা পিছু পিছু কিছু দুর এসে তার দিকে চেয়ে রইলো। পরে ঘরে ফিরে এলো। এতক্ষণ হাসিনার মায়ের সময়টা যেভাবে কাটতে ছিলো তাতে তার মনটা অনেকটা হালকা হলেও, ঘরে ফিরে আবার হাজার চিন্তায় নিমজ্জিত হলো। সে ভাবতে লাগলো অতীতের সুখ সাচ্ছন্দের কথা। সে অতীতে আশা করেছিলেন যে আমাদের জীবনটা যেভাবে কেটে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো আরো সুখে কাটবে। তখন ছেলে মেয়ে বড়ো হবে তখন তারা তাদের নিজ পায়ে দাড়াতে শিখবে, আর আমরা দু-বুড়ো বুড়ী অবসরে ছেলেমেয়েদের কাজকর্মের ফলাফল অনুভব করব। কিন্তু বিধির কি লীলা খেলা তা আর হলো কৈ ? আর ছেলে মেয়ে বড়ো না হতেই তাদের জীবনটা তছনছ হয়ে গেলো গাড়ীর চালক না থাকলে যেমন গাড়ী চলেনা, আমার সংসারের চালক নেই, আমার সংসার কি তেমনি থেমে যাবে ? আজ আমি অনাথ ছেলেমেয়ে গুলো নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবো, তা ভেবে পাচ্ছি না। আজ আমাকেই সংসারের চালক হয়ে এদের মানুষ করার দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই দায়িত্ব আমি কিভাবে পালন করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। হে খোদা তুমি আমাকে শক্তি দাও যেন এই এতিমদের মানুষ করতে পারি। হে দয়াল তুমি ছাড়া আমার পিছনে আর কেউ নেই। এমন সময় হাসিনার চাচা করিম ঘরের বাইরে এসে ডাক দিলো। করিমের ডাক শুনে হাসিনার মায়ের চিন্তায় ছেদ পড়লো, সে দরজায় এসে দেখে করিম মিয়া দাড়িয়ে আছে। এসো ভাই ভিতরে এসো। করিম ঘরের ভিতরে চলে আসলো এবং চেয়ার টেনে বসলো।
-ভাবী হাসিনার লেখা পড়ার সমন্ধে কিছু ভাবলেন।
-সেতো ভাই তুমি ভালো বোঝ। তুমি ছাড়া ভাবার আর কে আছে ভাই ? তাছাড়া হাসিনা স্কুলে যাওয়ার জন্য কয়েক দিন হলো আমাকে বলতেছে। তোমার নিকট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো বলে ভাবছি। তা তুমি আজ এসেই যখন গেছো তা ভালই হলো।
-আমি আর কি করবো ভাবী, তবে বলি কি স্কুলের লেখা পড়াটা বন্ধ করে দিয়ে বাড়ীতে আরবীটা শিক্ষা দিলে ভালো হয় না, সংসার জীবনে তো ওইটাই প্রয়োজন।
কিন্তু ভাই হাসিনা যে স্কুলে যাওয়ার জন্য আমার মাথাটা খাচ্ছে। তাছাড়া ওতো আরবী পড়া ভালই শিখেছে। তাই বলি কি আরবী পড়া আপাততঃ থাক, আগে এস,এস,সি টাই শেষ করুক।
-কিন্তু ভাবী বাংলা লেখাপড়া বেশী শিখে কি হবে। সংসার জীবনে কোন কাজে লাগবে না। আমরা হলেম পল্লী সমাজের লোক, তাই পল্লী গ্রামের মেয়েদের এইসব বাংলা লেখাপড়া কোন কাজে আসেনা।
-কিন্তু পল্লী সমাজ বলেই কি মেয়েদের বাংলার লেখা পড়া শেখা নিষেধ। তা হলে পল্লী সমাজের মেয়েরা বাংলা শিখবে না। শুধু আগেকার নিয়মনীতি নিয়ে এখনও দিন কাটাবে মেয়েরা।
-মেয়েদের বেশী বাংলায় লেখা পড়া শিখে লাভ কি ভাবী। তাদের আজ কিছু বাংলা শেখা থাকলেই তো চলে। মেয়েরা তো ছেলেদের মতো চাকুরী করবে না।
-চাকুরী না হয় নাই করলো তাই বলে বাংলায় লেখাপড়া শিখবে না এটা আমি মানতে পাড়লামনা, লেখা পড়া শিখলেই যে চাকুরী করতে হবে এমন তো নয়, বরং সমাজের শিক্ষার হার বাড়বে, এতে সমাজের বাধা কোথায়?
-আসল কথা হলো কি ভাবী বাংলায় বেশী লেখাপড়া শিখলে তারতো বয়স বেড়ে যাবে। আর বয়স্ক মেয়েরা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করবে একি সমাজের চোখে দৃষ্টি কটু নয় ॥ তাছাড়া মেয়েরা বয়স্ক হয়ে লেখাপড়া শিখলে তাদের লজ্জা সরমও কম হয়। শুধু লজ্জা সরম কমই হয় না বরং তারা পুরুষের মতো চলাফেরাও করতে শিখে।
-তাই বলেতো আমার মেয়ের বয়স তেমন বেশী হয় নাই। হাসিনার চেয়ে কত বেশী বয়স্ক মেয়েরা পড়তেছে। তাদের তুলনায় হাসিনার বয়স অনেক কমই আছে। তাছাড়া সবাই যে একই ধরণে স্বভাব চরিত্রের হবে, তারতো কোন মানে নেই।
সবাই এক ধরণের হোক আর না হোক সে কথা আমি বলিনা। বলি কি আমরা ইসলাম ধর্মের লোক। ধর্ম পালন করতে হলে অনেক নিয়ম কানুন মানতে হয়। কিন্তু তার কি কিছু পালন করি আমরা, করি না। সুতরাং যদি মেয়েদেরকেও এই ভাবে আমরা বেপর্দা ভাবে রাস্তা ঘাটে চলতে দেই তবে তো ইসলাম ধর্ম কয়েক দিনে ডুবে যাবে একে বারেই। তাছাড়া আমরা তো আর ইংরেজ বা খ্রীষ্টান নই যে তাদের মত করে ছেলেমেয়েদেরকে তৈরী করে, চলতে দেবো। আপনি জানেন বয়স্ক মেয়েদেরকে পর পুরুষের সাথে চলতে দেওয়া ইসলাল ধর্মে নিষেধ।
-না ভাই ঠিক বললে না। আমার জানা মতে হাসিনা অন্যদের সাথে কথাও বলে না-কোন অনিয়মও করেনা। তাই তাকে অপ্রাপ্ত বয়সেই বিয়ে দিতে হবে হাসিনাকে এটা ঠিক না।

আরে ভাবী সে কথা বলছি না, মানছি ও এখন সমত্ত্ববান হয় নাই কিন্তু হতে চলেছে কিনা, আপনি কি ওর শরীর ধরে রাখতে পারবেন। আর আমরা তো আর শহুরে নই যে পড়াতেই হবে। পাড়া গায়ের মেয়ে পাড়া গায়েই বিয়ে দিতে হবে। অতএব আর বেশী পড়ার দরকার নেই।

তুমি যাই বলো ভাই আমি এখন বিয়ে দিবো না, ওকে যে ভাবেই হোক অন্ততঃ এস.এস,সি পাশ করাবো এবং কালকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো।

-ঠিক আছে আপনি তাহলে আমার কথা রাখলেন না । পড়ে কিছু হলে আমার দোষ নেই বলে গম্ভীর হয়ে চলে যেতে লাগলো। আহা এতো রাগ হচ্ছো কেন? তোমার কথাটি আমি রাখি নাই। সর্বদাই তোমার মতামত নিয়েই কাজ করছি, ঠিক আছে তো তোমার মতের বিরোধে যেতে চাচ্ছি না। তোমার যা ভালো মনে হয় তাই করো।

মাথা ঘুরিয়ে আবার বললো, আমার কথা যদি রাখো তবে মেয়েকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করো এবং আমি যা পরামর্শ দিলাম সেই ভাবে কাজ করো।

-হাসিনার মা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে খোদার ভরসা করে বলে উঠল, খোদা তুমি আমার কপাল ভেঙ্গেছো, তুমি জানো সবকিছু। তুমি আমার ছেলেমেয়েদের সহায় থেকো। তুমি ছাড়া আমার ছেলেমেয়েদের আর দেখার কেউ নেই। নানাবিধ চিন্তা করতে করতে হাসিনার মা ঘুমের জন্য বিছানায় উঠে গেল।

(চলবে)

ছবি ঃ গুগোল

প্রথম পর্ব পড়ার জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

দগ্ধ হৃদয় (প্রথম র্পব)

Loading

Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *