গাইবান্ধা জেলার সিংড়িয়া চরের ছবি

২০১৫ ইং সালের ১৬ই জানুয়ারী গাইবান্ধার পূর্ব দক্ষিণে সিংড়িয়া চরে গিয়েছিলাম। এখানে আমার বাবার পাকা বাড়ি ছিল। পাশেই ছিল আমার দাদার বাড়ি, বাড়িটি দেড়শত বছরের পুরানো ছিল। ২০০৬ সালে ঘরবাড়ি জমিজমা সব নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী ভাঙনের পর এখন ধুধু বালুচর। আমার শৈশব কৈশর এখানেই কেটেছে। তাই ভুলতে পারি না এই এলাকার কথা। বাপ দাদার পৈতৃক জমিজমা তদারকি করতে গিয়ে মোবাইলে কিছু ছবি তুলে এনেছি

০। যমুনার তীর সংলগ্ন ছোট্ট একটি বাজার

১। গাইবান্ধা থেকে ভটভটি দিয়ে রতনপুর চরের তীরে পৌছার পর।

২। নদীর পানি চারদিকে শুকিয়ে গেছে তাই বদ্ধ পানিতে নৌকা আটকে আছে।

৩। চরের গম ক্ষেত।

৪। নদীতে মাছ মারার জন্য জাল পেতে পাহারা দিতে হয়। তা না হলে বেরসিক চোরে জালসহ মাছ নিজের মনে করে নিয়ে যেতে এতটুকুও কৃপণতা করবে না। শীতের রাতে পাহারা দেয়াও কষ্টকর ব্যাপার। খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকলে কুয়াশায় কাঁথা বালিশ ভিজে যায়। কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য ডেরার ব্যবস্থা।

৫। নদীর পাড়েই বাড়ি। মানুষ গরু থাকার একটা ঘর থাকলেও উঠান নাই, উঠান নদীতে ভেঙে গেছে। তাই নদীর পাড়ে খোলা আকাশের নিচে দিনের বেলা গরু পালনের ব্যবস্থা।

৬। পানি শুকিয়ে চারিদিকে চর পরেছে। চরের বদ্ধ পানিতে নৌকা আটকে আছে আগামি বন্যার অপেক্ষায়।

৭। মায়ের সাথে ছেলে চরে যাচ্ছে।

৮। আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। এক কালের খরোস্রোতা যমুনার শাখা নদী এখন এই অবস্থা।

৯। ছেলেটি তপ্ত রোদের ভিতর চরের বাড়ি যাচ্ছে।

১০। ধুধু বালুচর, কোথাও এতটুকু গাছগাছালি নাই। ধুধু বালুচর হলেও কিছু তো খেতে হবে, তাই ধুধু বালুচরে রান্নার জন্য লাকড়ি কুড়ানো হচ্ছে।

১১। ধুধু বালু চরেও কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কুমড়া গাছ লাগিয়ে সতেজ রেখেছে।

১২। চরের কুমড়া ক্ষেত।

১৩। চর এলাকায় বাড়ির পাশে ধনিয়া ক্ষেত।

১৪। নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাওয়া।

১৫। চরের তীর থেকে ঢাল বেয়ে নামতে হয়।

Loading

Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *