নগরবাড়ীর ঘাটে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
যমুনা সেতু হয়নি তখন
নগর বাড়ি এসে
বাস গাড়ি আর যাচেছ নাতো
থামল হেথায় শেষে।
হোটেল বয়দের চেচামেচি
দিচ্ছে খাওয়ার লোভ
মাছি ভনভন ভাঙ্গা প্লেট
দেখলে উঠে ক্ষোভ।
তারপরেতেও ক্ষুধার জ্বালায়
গেলাম হোটেল ঘরে
সস্তা কাঠের চেয়ার টেবিল
নড়বড় নড়বড় করে।
ম্যানেজার সাব বসে আছেন
গায়ে গেঞ্জি শুধু
সামনে রাখা ঝোল তরকারী
চিংড়ি, ইলিশ, কদু।
জিজ্ঞেস করলাম লঞ্চের কথা,
‘কখন যাবে ছাড়ি’?
বলল হেসে, ‘এক ঘন্টা পর
বসেন তাড়াতাড়ি’।
খাওয়ার টেবিলে বসার পরে
যেই নিয়েছি ভাত
অর্ধ প্লেট না খাওয়াতেই
ধুয়ে ফেল্লাম হাত।
লঞ্চটি তখন ভেপু দিয়েছে
যাচ্ছে এখন ছেড়ে
ভাতের দাম ছাড়ছে নাতো
জোরেই নিচেছ কেড়ে।
তাড়াহুড়োতে দিলেম টাকা
খুচরা নাকি নাই
বত্রিশ টাকা বেশি দিয়েই
দৌড়ে গেলাম তাই।
লঞ্চটি তখন ছাড়ে ছাড়ে
উঠে পরলাম যেই
তাকিয়ে দেখি ব্যাগটি আছে
হাতের ছাতা নেই।
ছাতা রেখেছি হোটেল ঘরে
কেমনে যাব তীরে
লঞ্চটি তখন ছেড়ে দিয়েছে
যাওয়া হলোনা ফিরে।
তিনমাস পরে আবার গেলাম
নগর বাড়ির ঘাটে
ওই হোটেলে ছাতা চাইলে
আর কি দাবী খাটে?
দাঁত খেচিয়ে বলল কথা
হোটেল ম্যানেজার
ছাতা চাওয়াটা অপরাধ মোর
পাল্টা জবাব তার।
তার পরেতেও ওই ঘাট দিয়ে
করছি আসা যাওয়া
অনিচ্ছাতেও সেই হোটেলে
খেয়েছি রসের খাওয়া।
Recent Comments